Tuesday 15 July 2014

লোহাঘাট-মায়াবতী-২........অবশেষে লোহাঘাট

মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কি মারাত্মক রকম বিভ্রাটের মধ্যে দিয়ে লোহাঘাট যাবার ডিসিশনটা নেওয়া হলো তা তো লোহাঘাট-মায়াবতী প্রথম পর্বেই বলেছি আপনাদের। সেদিন তো আমরা সন্ধ্যে পৌনে সাতটার অফিসফেরত যাত্রীদের ভিড়ে-ভিড়াক্কার মেট্রোতে উঠলাম। কিন্তু তখনও জানি না যে কোথায় নামব। কারণ বলেছিলাম না যে টিকিট কনফার্ম হলে হরিদ্বার, না হলে লোহাঘাট। অর্থাত প্রথম ক্ষেত্রে নিউ দিল্লি রেল স্টেশন, না হলে আনন্দবিহার বাস ট্যার্মিনাস। এবং সমস্যাটা হলো, ট্রেনের scheduled time রাত বারোটা। এবং IRCTC র নিয়মানুসারে ফাইনাল প্যাসেঞ্জার লিস্ট আমাদের মত দুর্ভাগারা জানতে পারবে ট্রেন ছাড়ার মাত্র দুটি ঘন্টা আগে। অর্থাত রাত দশটার আগে কোনো মতেই নয়। এখন এই পৌনে সাতটার মেট্রোতে চিঁড়ে-চ্যাপ্টা হয়ে দাঁড়িয়ে দুজনে ক্লাস টুয়েলভের trigonometry র প্রবলেম solve করার মত করে স্টেপ বাই স্টেপ logically ভাবতে থাকি। ফার্স্ট লাইন অফ সল্যুশন: এক্ষেত্রে দুটি বিকল্প পথ আমাদের কাছে। পথ দুটি এবং তাদের সাম্ভব্য প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিযোগগুলি খতিয়ে দেখে আমরা সেদিন যে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম সেগুলি হলো-

(এত ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বলছি কারণ ক্লাস টুয়েলভের trigonometry র প্রবলেম solve কতে গেলে নাকি এরকম কঠিন কঠিন করেই লিখতে হয়, তখন তাই লিখতাম মাস্টারমশায়ের কথা বেদবাক্যি মনে করে। যাই হোক অঙ্কে মনোযোগ দেওয়া যাক)

১: সোজা নিউ দিল্লি স্টেশন এ নামা এবং রাত দশটা পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখা টিকিট কনফার্ম হচ্ছে কিনা

প্রাপ্তি: টিকিট কনফার্ম হোলে সোজা বারোটার ট্রেনে করে পরদিন ভোরে হরিদ্বার। এবং সন্ধ্যেবেলা গঙ্গার ঘাটে ফুরফুরে হাওয়ায় বসে গঙ্গারতি দেখে পুন্যার্জন করা।

 অপ্রাপ্তি: আর যদি ভগবানের দয়ায় টিকিট কনফার্ম না হয় (এটাই চাইছিলাম আমি), তবে রাত দশটায় তল্পি-তল্পা নিয়ে ফের মেট্রো ধরে রাজীব চক হয়ে আনন্দবিহার পৌঁছাতে মিনিমাম রাত এগারোটা। ততক্ষণে টনকপুর যাবার শেষ বাসটাও ছেড়ে চলে যাবে না তো ? তখন তো মাথা চুলকে আবার ভাবতে হবে আর কোথাকার বাস আছে যাবার মত? সেখানে গেলে থাকতে পাব তো? ই ই ই ই ই !!!!!!! হাতে তো তখন স্রেফ ঝুলপড়া একটি আস্ত হ্যারিকেন ছাড়া কিছুই থাকবে না!!!

২. এক্ষুনি রাজিবচকে নেমে সোজা আনন্দবিহারের মেট্রো ধরা:

প্রাপ্তি: সেক্ষেত্রে রাত নটার মধ্যে আনন্দবিহার। ওখানকার হাল-হকিকত, বাস-টাস দেখে উঠে বসা। দশটার সময় ট্রেনের টিকিট কনফার্ম হলে চাইলে স্টেশনে ফিরে বারোটার ট্রেন ধরার জন্য যথেষ্ট সময়ও থাকবে। না চাইলে বা টিকিট কনফার্ম না হোলে সো ও ও ও ও জা রাতের বাসে করে ভোরবেলা টনকপুর। সেখান থেকে লোহাঘাট।

অপ্রাপ্তি: কিচ্ছু নেই। কারণ আমি প্রথম থেকেই আমি এটাই চেয়েছিলাম। তার একটা কারণ অবশ্যই যে, আমি হরিদ্বার আগে গেছি যেমন সবাই যায় আর লোহাঘাট যাইনি। আর দ্বিতীয় ও প্রধান কারণটা হলো লোহাঘাটের উচ্চতা হরিদ্বারের চেয়ে অনেক বেশি তাই হিসেব মত সেখানে গরমটা হরিদ্বারের চেয়ে কম থাকার কথা। কিন্তু তাও কেন আমায় অল্টারনেটিভ ব্যবস্থার কথা ভাবতে হচ্ছে তার কারণটি হলো আমার পরম সাহসী সহযাত্রীটি। বিশদ ব্যাখ্যা ক্রমশঃ প্রকাশ্য।

অতএব, প্রবল বাদানুবাদ-যুক্তি-পাল্টা যুক্তি ইত্যাদির পর যখন প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ব্যাখ্যানুসারে, দ্বিতীয় পন্থাটিই অবলম্বন করা হবে স্থির করা হলো ততক্ষণে দেখি ট্রেন গুড়-গুড় করে কোন একটা স্টেশনে ঢুকছে। এতক্ষণ আমরা দুজন বাইরে তাকাবার সময় পাইনি তাই ভাবলাম দেখি কোন স্টেশন, এত লোকজন কেন?
তারপর? হেঁ হেঁ তার পরের দুমিনিটে যেটা হলো সেটা ঠিক ভাষায় ব্যাখ্যা যোগ্য নয়। কারণ স্টেশনটা ছিল রাজীব চক। গত চল্লিশ মিনিটের আলোচনা অনুসারে যেখানে আমাদের নামা উচিত। আর আমরা আছি ট্রেনের যেদিকে প্লাটফর্ম পড়েছে তার ঠিক উল্টোদিকে। দরজার কাছে পৌছতে গেলে দুটো গাবদা-গাবদা ব্যাকপ্যাক সহ আমাদের প্রায় একশ জন লোককে টপকাতে হবে। এবং সেটা করতে হবে প্লাটফর্ম থেকে লোক ওঠা শুরু হবার আগেই। কারনটা যাঁরা শুক্রবারের রাত আটটায় দিল্লির রাজীবচক স্টেশন থেকে ওঠানামা করেছেন তাঁদের আর বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। আর যাঁদের পুর্বজন্মকৃত অশেষ পুন্যবলে সে দুর্ভাগ্য হয়নি তাঁদের জন্য বলি, চতুর্থীর দিন সন্ধ্যে সাতটায় গড়িয়াহাট মার্কেটে যত লোক থাকা সম্ভব সবাইকে যদি ধরে বেঁধে টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশনে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তবে যে অবস্থা দাঁড়ায় সেটা থেকে খানিকটা আন্দাজ পাবেন। সুতরাং বুঝতেই বেশ একটা adventure সুলভ মনোভাব নিয়ে যে যার ব্যাগ সামনে নিয়ে সামনের লোকজনকে অসভ্যের মত ঠেলতে ঠেলতে দরজার দিকে এগোনোর চেষ্টা করতে থাকলাম। মনে একটায় আশা, এখানে লোক ওঠেও যেমন-নামেও সেরকম তাই ট্রেন থামলে সামনেটা হয়ত খালি হতে পারে।

ট্রেন থামলে আমি নেমে আসতে পেরেছিলাম সেদিন ঠিকই কিন্তু ব্যাগটা প্রায় ভিড়ের টানে হাতছাড়া হয়ে যাবার যোগাড় হয়েছিল। শেষ মুহুর্তে হ্যাঁচকা টানে দুজন নিরীহ ভদ্রলোককে প্রায় স্টেশনে ফেলে দিয়ে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। আর পেছনে অজস্র লোকের গালাগালি শুনতে শুনতে মেট্রোর প্লাটফর্ম চেঞ্জ করেছি।

দ্বিতীয় মেট্রোতেও সমান ভিড়। উঠে কোনক্রমে দরজার পাশে ব্যাগসহ নিজেকে আবিস্কার করলাম একগুচ্ছ সদ্য স্কুল পেরোনো ছানা-পোনাদের মাঝে। পিনাকী নিজের বাহুবলেই বোধহয় আরো খানিকটা ভেতরে ঢুকতে পেরেছে। মোটামুটি লোকজনের ঠেলা খেতে খেতে সিধে হয়ে দাঁড়িয়ে যখন আগের মেট্রো থেকে নামতে গিয়ে কি কি অসভ্যতা করেছি ভেবে মনে মনে লজ্জিত হব হব, তখন চোখ পড়ল আমার চারপাশের সেই ছানা-পোনাগুলোর ওপর। একখানা মোবাইলে চার জন মিলে একটাই গেম নিয়ে টানাটানি করছে। দলে একটিমাত্র মেয়ে এবং বাকি তিনজন ছেলে। অতএব শেষ পর্যন্ত দৃশ্যটা এরকম দাঁড়ালো, মেয়েটির হাতেই মোবাইল বাকিরা তার ঘাড়ের ওপর দিয়ে উঁকি মারছে।

পিনাকী সামনাসামনি না থাকায় আমি আশেপাশের লোকজনকে নিয়ে ঠারে ঠোরে কারো সাথে পিএনপিসি করতে পারছিলাম না বলে ভিড়ের মধ্যে একা দাঁড়িয়ে বেশ বোর হচ্ছিলাম। ভাবলাম, ওদের সাথে মোবাইল গেমিং করি না কেন। বেশ টাইমপাস হয়ে যাবে। ভেবে আমিও মেয়েটির ঘাড়ের ওপর দিয়ে মোবাইলের স্ক্রীনে চোখ রাখলাম। এবং ঠিক এক মিনিট বাদেই জীবনে সাতহাজার সাতশ সাতাত্তরতম বারের মত realize করলাম যে, পকেটে স্মার্টফোন থাকলেও আমি হচ্ছি পৃথিবীর সেরা আনস্মার্টদের একজন। কি অবিস্মরণীয় দক্ষতায় বাচ্চা মেয়েটি মোবাইল স্ক্রিন এর পুঁচকে গাড়িটাকে এদিক ওদিক করে অন্যসব কিছু থেকে বাঁচিয়ে নিয়ে ছুটছিল, বাপরে! আমি হলে তো.......যাক সে কথা। নিজের অপার আনস্মার্টনেসের দুঃখে বোধহয় একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এসেছিল। মেয়েটি হটাত ঘাড় ঘুরিয়ে আমার দিকে তাকালো। আমি চোখ সরিয়ে অন্য দিকে তাকাতে তাকাতেই শেষ মুহুর্তে সে দেখে ফেললো আর আমি তার দিকে তাকিয়ে ভেবলুর মত হেসে ফেললাম।........ সেও হাসলো। ব্যাস, আর কোনো চিন্তা নেই। এবার আর লুকিয়ে চুরিয়ে দেখতে হবে না। অনুমোদন যখন পেয়েই গেছি তখন আর কি? মেয়েটি নামা পর্যন্ত সে খেললো আর আমি তার বাকি তিনজন বন্ধুর সাথে সাথে খেলা দেখতে থাকলাম। যতক্ষণ না তারা নেমে যায়।

তারা নেমে যাবার পর আনন্দবিহার মেট্রো স্টেশন এর ঠিক আগের স্টেশনে আমি বসার সিট পেলাম আর পিনাকীর জন্য পাশের সিটটা রাখতে গিয়ে আবিস্কার করলাম ভারতবর্ষের হারিয়ে যাওয়া আরো একটি উজ্জ্বল প্রতিভাকে। ভদ্রমহিলা যদি ভারতীয় ফুটবল টীমে থাকতেন তবে কে বলতে পারে গত তের তারিখের ফাইনাল ম্যাচটা আর্জেন্টিনা-জার্মানি না হয়ে ইন্ডিয়া-আর্জেন্টিনা বা ইন্ডিয়া-জার্মানি হতে পারত। কি অদ্ভূত দক্ষতায় শৈল্পিক ভাবে পিনাকীকে ডজ করে, আমার একটা পা মাড়িয়ে ভদ্রমহিলা আমার পাসের সিটটা দখল করলেন। দেখে আমি দু চার সেকেন্ড হা আ আ করে তাকিয়ে থেকে পিনাকীর দিকে তাকিয়ে খিক খিক করে হাসতে থাকলাম। দেখে আমাদের ফুটবলার আন্টি একটু লজ্জা লজ্জা পেলেন বলে মনে হলো। জাঁকিয়ে বসলেন।

এইসব দুর্ধর্ষ এডভেঞ্চার সেরে তো আমরা শেষ পর্যন্ত আনন্দবিহার বাস ট্যার্মিনাসে পৌছলাম। ওহ, বলা হয়নি, পুরো প্রসেসটার মধ্যে দুটো কাজ আমায় বিনা বিরক্তিতে continuously করে যেতে হয়েছিল প্রথমটা হলো প্রতি আধঘন্টা অন্তর আমার ব্যস্তবাগীশ বাবার ফোন রিসিভ করা এবং ব্যাখ্যা করে বলা যে কেন এখনো আমরা জানিনা শেষ পর্যন্ত আমরা কোথায় চলেছি। আর দ্বিতীয় কারনটা হলো আমার জুতোর ভেলক্রোটা হাঁটতে গেলেই প্রতি তৃতীয় স্টেপে খুলে যাচ্ছিল ফলে আমায় পিনাকীর পেছন পেছন ছুটতে গিয়ে প্রতি মিনিটে একশ বার করে নিচু হয়ে জুতোর পরিচর্যা করতে হচ্ছিল। সারা ট্রিপেই আমায় এই দ্বিতীয় কাজটা করে যেতে হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত তো রাত ন'টা নাগাদ কাঙ্খিত বাসে উঠে বসলাম। এবং পিনাকীকে বোঝাতে সমর্থ হলাম যে তত্কালে যাঁরা টিকিট কাটেন পাগলা কুকুরে না কামড়ালে তাঁরা টিকিট সাধারণত ক্যানসেল করেন না। অতএব, আমাদের টিকিট কনফার্ম হবার কোনো চান্স নেই। তার চেয়ে ফাঁকা বাসে সিট ফিট ঝাড়াই বাছাই করে গুছিয়ে বসে চিপস- কোল্ডড্রিংক খেতে খেতে অন্য যাত্রীদের নিয়ে ফিসফিস করে পিএনপিসি করতে করতে ভোরবেলা টনকপুর পৌঁছানো অনেক ভালো। আর তার দ্বিতীয় চিন্তা হলো যে বাসে সহযাত্রীরা ঠিক কেমন হবে? যদি গন্ডগোল হয়? সেটাও অনেক ভুজুং ভাজুং দিয়ে বোঝানো গেল যে এই বাস মিস করার কোনো ইচ্ছা আমার নেই। অনেক নখ-টখ কামড়ে, মাথা-টাথা চুলকে ভদ্রলোক শেষে রাজি হলেন ট্রেনের আশা ছাড়তে। আমিও 'জয় মা' বলে ব্যাগ-ফ্যাগ তুলে দিয়ে জনমানবহীন বাসে ঠ্যাং ছড়িয়ে বসে সিটের আর ব্যাগের দখলদারি করতে থাকলাম। আর তিনি গেলেন খাবার-দাবারের বন্দোবস্ত করতে। বাবাকে লেটেস্ট আপডেট দিতে ভদ্রলোক খুব নিশ্চিন্ত হলেন। এতক্ষণ বোধহয় ভেবে কোনো কুল কিনারা পাচ্ছিলেন না যে এরা দুটোতে ঠিক কি করতে চাইছে। দেখি আবার আমাদের পুরনো বাসভ্রমনের প্রসঙ্গ তুলে দুচারটে রসিকতাও করছেন। বোঝা গেল মেজাজ খুশ।

বাসে আর বিশেষ কিছু ঘটনা ঘটেনি। কেবল পৌনে দশটায় বাস ছাড়ার সময় দ্রব্যগুণে সমৃদ্ধ একটি বছর পঁচিশের ছেলে তার বন্ধুকে বাসে তুলে দিতে এসে অন্ততঃ পাঁচবার বাসে উঠে একবার করে টাটা বলে আবার নেমে যাচ্ছিল। আর বাস ছাড়ার পনের মিনিটের মাথায় একটি অন্ধকার ধাবায় দাঁড় করিয়ে যখন ড্রাইভার আর বাকিরা চা খাচ্ছিলেন তখন বাসের মধ্যে openly বাদাম বিক্রি করার মত করে ঠান্ডা বিয়ার বিক্রি করছিল আট থেকে বারো বছরের দুটি বাচ্চা। এ জিনিস আমি আগে কখনো দেখিনি। বাসে করে প্রায় সারা উত্তর ও দক্ষিনভারত ভ্রমন করেও। নতুন অভিজ্ঞতা। যাই হোক, হওয়া খেতে খেতে, ঢুলতে ঢুলতে, হ্যা-হ্যা, হি-হি করতে করতে মাঝরাতে রোডসাইড ধাবায় জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করে ভোর পাঁচটায় টনকপুর।

টনকপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে শেয়ার অল্টো গাড়িতে করে তিন ঘন্টায় লোহাঘাট। মাঝে গাড়ি থামিয়ে পাহাড়ি দোকানে গরম রুটি আর সবজি। অমৃত। লোহাঘাট বাজারে আমাদের নামিয়ে দিল গাড়ি। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে দশ মিনিটে KMVN বাংলো। দারুন ভালো ব্যাপার। এই যে ছবি দেখুন।


সুন্দর পুরনো সরকারী বাংলো। আর তার সুন্দর কেয়ারটেকার টিকরাম সিং জী। অপূর্ব তাঁর রান্নার হাত। বুদ্ধদেব গুহর কোনো লেখায় বোধহয় পড়েছিলাম যে সরকারী বাংলোর কেয়ারটেকার এর cv তে ভালো রান্না জানাটা মাস্ট। সেটার প্রমাণ আরো একবার পেলাম। দুর্ধর্ষ একটা চিকেন কারি খেয়ে। তারপর এই বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রকৃতির শোভা দেখতে দেখতেই Abbott মাউন্ট (লোহাঘাট এরিয়ার highest পয়েন্ট ) নিয়ে যাবার জন্য নবীন ভাই (নাকি নাভিন?? জানি না বাবা !) এসে গেল গাড়ি নিয়ে।



তারপর তো সেখানে গিয়ে দেখি দুরের পঞ্চচুল্লি ইত্যাদি প্রভৃতি রথী মহারথী তো দূরস্থান, কোনো কিছুই দেখা দিলেন না। শুনলাম নাকি নিচে জঙ্গলে আগুন লেগেছিল দুচার দিন আগে তার ধোঁয়ার জন্য সবাই পর্দানশিন। আমরা অবশ্য সম্পূর্ণ বিফল হইনি। দারুন একটা সূর্যাস্ত দেখে, ওখানকার নির্মীয়মান সরকারী বাংলোর চৌকিদারের বানানো চা আর ম্যাগি খেয়ে, চৌকিদারের দুই প্রচন্ড বন্ধুত্বপূর্ণ কুকুর 'সার্বু' আর 'ডোংরী'র সাথে অনেকক্ষণ খেলাধুলা করে প্রচুর ছবি তুলে (আপনাদেরও কয়েকটা দেখালাম নিচে) সেদিনের মত ফিরে এলাম বাংলোয়। কাল যাব মায়াবতী

সার্বু 
ডোংরী   
 Abbott মাউন্টে 
Abbott মাউন্টে সূর্যাস্ত 


লালে লাল

0 comments:

Post a Comment