Sunday 22 February 2015

সার্কাস-৩


এত কান্ড করে কালকা পৌঁছে শেষে সেই গাড়িতে করেই শিমলা পৌঁছতে হবে না কি রে বাবা? সেটাকে এড়াতেই যে এত কান্ড সে তো আগের পর্বেই বললাম। টয় ট্রেনে যাবার যখন সুবন্দোবস্ত আছে তখন হাতের ছয় ঘন্টা খরচ করেই না হয় যাব, তিন ঘন্টা সময় বাঁচাবার লোভে শরীরকে কষ্ট দিয়ে লাভ নেই-এরকম একটা চিন্তা করেই টয়ট্রেনের টিকিট কাটা হয়েছিল। সে ট্রেন তো আমাদের দেরী দেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলে পালিয়েছে। এখন পরের ট্রেন তো শুনেছি বারোটায়। এখন কি তবে পাঁচ ছয় ঘন্টা হাপু গাইব? নাকি 'জয় মা' বলে বুক ঠুকে গাড়িতে করেই শিমলা যাবার চেষ্টা করব? দুজনে মিলে যুক্তি করে ভাবলাম দেখি একবার টিকিট কাউন্টারে কথা বলে আর কোনো ট্রেন মাঝখানে আছে কিনা? সুখবর! আছে, ট্রেন আছে। সকাল সাড়ে আটটায়। কিন্তু সেটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন, কোনো অগ্রিম বুকিং এর ব্যবস্থা নেই, জোর যার মুলুক তার হচ্ছে এই ট্রেনের মূলমন্ত্র। সে যাই হোক, ট্রেন আছে সেই ঢের। আমরা টিকিট কাউন্টারের ভদ্রলোককে প্রণাম করে ফেলি এরকম মনগত ইচ্ছে। পত্রপাঠ দুটি টিকিট কেটে প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দেখি ট্রেন দন্ডায়মান। ওফ কি শান্তি, জোর খাটানোর কোনো দরকারই নেই, পুরো মুলুকটাই আমাদের। যেখানে খুশি উঠে বসে পড়লেই হলো।  স্টেশনে দাঁতমুখ মেজে ধুয়ে ফের তৈরী আমরা যাত্রার জন্য। পছন্দমতন সিট খুঁজে নিয়ে বসে দেখি ততক্ষণে আকাশ পরিষ্কার হয়ে সূর্যের প্রথম রোদ এসে পড়েছে গায়ে। গত রাতের বিভীষিকার পরে এত ভালো লাগলো কি বলব উৎসাহের চোটে পিনাকী দেখি বলছে,"চায়ের কাপ দুটো বের করত দেখি গরম জল পাই কিনা, চা খাওয়া যাবে।" বের করে দিতে স্টেশনের চা এর ষ্টল থেকে গরম জল নিয়ে হাজির। টি ব্যাগ ডুবিয়ে দিব্যি চা খাওয়া হলো সঙ্গে টা হিসেবে সেদ্ধ ডিম, বিস্কুট, কলা ইত্যাদি ইত্যাদি। খেয়ে দেয়ে মনে হল, আমাদের বেড়াতে যাবার যে নিয়মিত ফাঁড়ারা থাকে তারা বোধহয় এযাত্রা কেটে গেছে। দিব্যি কমলালেবু, মিষ্টি, চকলেট সেবন করতে করতে দুটো নাগাদ শিমলা স্টেশন এ পৌঁছলাম। মাত্র আমাদের পূর্বনির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিনঘন্টা পরে। ছটার ট্রেন শিমলা পৌঁছোয় বেলা এগারোটায়, আমাদের এই সাড়ে আটটার ট্রেন পৌঁছেছে বেলা দুটোয়। গত পনেরো-ষোলো ঘন্টার ছোটাছুটির তুলনায় এমন কিছু পিছিয়ে নেই আমরা। সেটা ভেবেই মনটা বেশ চাঙ্গা হয়ে গেল।  

স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে দেখি আমাদের রথ প্রস্তুত। রথী বললেন তিনি আমাদের সসন্মানে ফাগু পৌছে দেবেন। কিন্তু তার আগে আমরা শিমলার বাকি দ্রষ্টব্য কিছু তখুনি দেখতে চাই কিনা? আমাদের শিমলা দেখার বিশেষ তাড়াহুড়ো ছিল না। বললাম সরাসরি ফাগু যাব। তারপর শিমলার বাড়ি ঘরের জঙ্গল শেষ হতে না হতেই রাস্তার পাশে সাদা সাদা ওকি!! বরফ রে! পিনাকীর জীবনে প্রথম এত কাছ থেকে বরফ। তার তো চোখে মুখে আলো। দূরে পরিষ্কার নীল আকাশে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে কিন্নর কৈলাস।  অপূর্ব সে দৃশ্য। যত যেতে লাগলাম তত বরফ বাড়তে লাগল।এইসব দেখে মনটা এতো তরতাজা হয়ে গেল যে শারীরিক ক্লান্তি ভুলে আমাদের ড্রাইভার ভাইয়ের প্রস্তাবে সায় দিয়ে ফেললাম। না শিমলা দেখব না। সেটা কালকের জন্য তোলা থাক। আজ ফাগু পৌছানোর আগেই পড়বে কুফরী, সেখানে সন্ধ্যে নামা অবধি বরফে খানিক হুটোপুটি করে তারপর ফাগু যাব। কুফরীতে বরফই বরফ। আর তার সাথে গাঢ় সবুজ জঙ্গলে সাদা সাদা বরফ অদ্ভূত এক মোজাইক নক্সা তৈরী করেছে। বরফ আমি আগেও দেখেছি। বেশ ভালোরকমই দেখেছি। কিন্তু এই সবুজ-সাদার কম্বিনেশনের নয়নলোভন ল্যান্ডস্কেপ আর দেখিনি। কুফরীতে বরফের পোষাক, জুতো-টুতো  নেওয়া হলো। তারপরে আমরা গেলাম স্কি করতে। ছবি আর টিভি ছাড়া চর্মচক্ষে জন্মে কখনো স্কি করতে দেখিনি।



সেইসব ভারী ভারী সাজ-সরঞ্জাম দেখে প্রথমে খানিকটা ঘাবড়েই গেলাম। ভাবলাম থাকগে বাবা দরকার নেই ভূতের কিল খাবার। তারপরে ভাবলাম দেখিই না পারি কিনা। জীবনে প্রথম একটা অভিজ্ঞতা তো হবে। প্রথমেই তো আছাড় খেলাম একটা। পিনাকী সঙ্গে সঙ্গে মন্তব্য করলো,"এই খাতা খুললো"। প্রচন্ড রাগ হলো। তক্কে তক্কে রইলাম, "আচ্ছা, মাঘ মাস কি আমার একার?" তারপরে আর কি? কিছুক্ষণের চেষ্টায় আর আমাদের গাইডদের সঙ্গতে একটু একটু করে এগোতে লাগলাম। নিজের দেহের ভার যে এতটাই বেশি সেটা আগে কখনো এমন করে বুঝিনি। তার পর আমি আরো দুবার আছাড় খাবার পর পিনাকী একবার আছাড় খেল আর আমার মুখ থেকে সাথে সাথে বেরিয়ে এলো,"এই খাতা খুললো।" অত বরফের রাজ্যে পর্যটক বেশি ছিল না তখন তাই কতটা উপভোগ করেছি সেটা নিয়ে আর কিছু লেখার নেই। শীতকালে শিমলা-কুফরী বা এরকম উচ্চতার যেকোনো পর্যটন স্থানেই যাঁরা গেছেন তাঁরা প্রত্যেকেই জানেন, আজন্ম সমতলের গরমে বাস করার পরে বিস্তীর্ণ বরফের প্রান্তর, সেই প্রান্তর ঘিরে ঝুরো বরফের প্রসাধনী জড়িয়ে গাঢ় সবুজ বনানী আর দিগন্তে শ্বেতশুভ্র পর্বতমালা, নামে-উচ্চতায় যাঁরা এক একজন রথী মহারথী-এরকম পরিবেশে কোনো কিছু করতেই মন চায় না। কেবল চুপটি করে বসে ইচ্ছে করে আত্মমগ্ন হবার, নিজের ভেতরে ডুব দিয়ে অতল থেকে মন্থন করে আনার হারিয়ে ফেলা মনিমুক্তোগুলোকে। কিন্তু আমরা স্কি করলাম, আরো যা যা মজা করা যায় সব করলাম। আর আমাদের সেই সব মজা করতে সাহায্য করলো রীতিমত দক্ষ অভিজ্ঞ বছর বারো-পনেরো বয়সের পেশাদার গাইডরা। স্কি করতে আমার যতটা উৎসাহ তার থেকে আমাকে স্কি করাতে তাঁদের বেশি উৎসাহ। হটাৎ দেখি পেছন থেকে ঠেলতে শুরু করেছে আমায়। তার জন্য যে তারা বেশি টাকা পাবে তাও নয়। বলে,"দিদি এত আস্তে চালালে কি করে হবে?" আমায় দৌড় করিয়ে কি খুশি তারা, খিলখিল করে হাসছে। আমরা না করলেও বলছে "চল চল আর একবার।" একটা কথা মনে হচ্ছিল, আমায় যদি বলা হয় তোমার কাজ কর্ম, শিক্ষা-দীক্ষা, সংস্কৃতি-মনন যেটুকু তোমার ঝুলিতে আছে, সব কেড়ে নেওয়া হলো। আজ থেকে তোমার পেশা এই বরফে গাইডগিরি, আমি কি এত খুশি হয়ে খিলখিলিয়ে হাসতে পারতাম? নাকি আমার অর্ধেক বয়সী এইসব ছেলেরা তাসের উল্টো দিকটা হয়ত কোনো দিন দেখেনি বলেই এত খুশি হয়ে নিজের কাজটুকু করে চলেছে? আর আমরা সব পেয়েছির দেশে বাস করেও কোনো কিছুতেই নির্মল খুশির ঠিকানায় পৌঁছতে পারি না? তাহলে যে জীবন আমাদের জন্য পূর্বনির্ধারিত, তাকে অহেতুক বদল করতে গিয়ে নিরন্তর অতৃপ্তির আগুনে ঝলসানোর থেকে কি তাসের অপর পিঠটা দেখতে পাবার চেষ্টা না করাই কি ভালো? যেটুকু সময়ের সাথে সাথে যেচে জীবনে যুক্ত হতে চায় তাকে উপভোগ করার নির্মল খুশির খিলখিল হাসিটা বুঝি তাহলে এমনিই বেরিয়ে আসে। তাকে ঝোলা কাঁধে খুঁজতে বেরোতে হয় না।

এরপরে আমরা গেলাম আরো ওপরে সেখানে বরফ-স্কি-টিউব চড়ে বরফের ঢাল বেয়ে নেমে আসা-চা, কফি, ম্যাগির অস্থায়ী পসরা সব নিয়ে আছে এক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক। সেখানে যেতে গেলে পার হতে হয় বেশ কিছুটা কাঁচা রাস্তা আর সে রাস্তা তখন বরফগলা জলে আর ঘোড়া চলাচলের দরুণ আক্ষরিক অর্থেই একহাঁটু কাদার দহের চেহারা নিয়েছে। সে রাস্তার হেঁটে যাবার ক্ষমতা আমাদের মতন আলতুশি প্রানের নেই। ফলে বাধ্য হয়েই ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাকিদের মত একটি ঘোড়ার পিঠে চেপে বসতে হলো। অপরিসীম লজ্জায় দেখলাম হাঁটু পর্যন্ত গামবুট পরে হাসিমুখে অবলীলায় সেই অবলা জীবটিকে চালিয়ে নিয়ে চলেছে আর একটি বছর পনেরোর ছেলে। সেখানে গিয়ে কি দেখালাম ততো আগেই বললাম।







ফেরার সময় দুটি ঘটনা। এক, আমাকে আর পিনাকীকে যথাক্রমে 'শেরু' আর 'ছুমরী' নাম দুটি ঘোড়ার পিঠে তোলা হলো, যারা নাকি জুড়িদার। আমরা দুজন ছাড়াও আরো ছজনকে নিয়ে একজন মাত্র বাচ্চা ছেলে নামতে লাগলো যথারীতি হাসি ঠাট্টা করতে করতে। ঘোড়াগুলি এ রাস্তায় আজন্ম ওঠানামা করছে প্রতিদিন। তাই তাদের লাগাম ধরে নিয়ে যাবার কোনো দরকার নেই। ওরা নিজেরাই নিচে নেমে যেতে পারবে এই যুক্তিতে। কিন্তু গাইড সামনে না থাকলে আমাদের যেমন ফেসবুকে চ্যাট করতে কোনো বাধা নেই, তেমনি গাইড না থাকলে ঘোড়াদেরও পাহাড়ি পিচ্ছিল রাস্তায় পিঠে প্রাণ হাতে করে বসে থাকা সখের সওয়ারী নিয়ে বেয়াক্কেলে লাফালাফি করতে কোনো বাধা নেই। শেরু আর ছুমরী আগে পিছে হাঁটছিল বেশ। হটাৎই তাদের প্রেম উথলে উঠলো। আর 'শেরু' ঘাড়  বেঁকিয়ে আড়াআড়ি রাস্তা জুড়ে দাঁড়িয়ে 'ছুমরী'র ঘাড় কামড়াতে শুরু করলো। আর এর ফলে 'ছুমরী' সেই হাঁটু পর্যন্ত কাদা মাখা সরু পাহাড়ি রাস্তায় তড়িঘড়ি খাদের দিকে চলে যেতে লাগলো। শেরুও তার সওয়ারীকে নিয়ে তার দিকে ঝাঁপিয়ে আসতে লাগলো। ফলে আসা যাওয়ার পথে বাকি ঘোড়ারাও রাস্তা না পেয়ে সেখানে একটি সুন্দর জটলা তৈরী করলো। সরু পাহাড়ি রাস্তা-বরফগলা জলে হাঁটু পর্যন্ত কাদা-সহিসহীন ঘোড়াদের চাঞ্চল্য-তাদের পিঠে ঠুনকো সওয়ারীদের বিকট আর্তনাদ সব মিলিয়ে আমার সৈয়দ মুজতবা আলী সাহেবের কাবুল যাত্রার কথা মনে হচ্ছিল। অনেক কষ্টে 'শেরু' কে বাগে আনা গেল সহিসের সাহসে। আর এর ফলে আরো একটি লাভ হলো সেটি এই যে আমার নিজের অশ্বারোহণ ক্ষমতার প্রতি এতটাই বিশ্বাস জন্মালো যে আমি একহাতে ঘোড়ার পিঠের আসনের হাতল ধরে আর এক হাতে ক্যামেরা বাগিয়ে কেরামতি করতে গেলাম। এবং এর ফলস্বরূপ এদিনের শেষ সার্কাসটা ঘটলো। আমি আশেপাশের বরফ-গাছপালা-রাস্তাঘাট-রাস্তার কাদা-ঘোড়া এসবের ছবি তুলতে লাগলাম। মাঝে একটি ঘোড়া হঠাৎ বেঁধে দেওয়া রাস্তা ছেড়ে পাশের জঙ্গলের দিকে ঢুকে গিয়ে মনে সুখে রাস্তার পাশের বরফ খেতে লাগলো। জলতেষ্টা পেয়েছিল বোধহয়। তার সওয়ারী তো প্রবল বিক্রমে চেঁচাতে লাগলেন ঘোড়া আর কিছুতেই সিধে রাস্তায় আসে না। আর আমি অপরের দুঃখে হ্যা হ্যা করতে গিয়ে হটাৎ দেখলাম আমার ক্যামেরা স্পিকটি নট হয়ে গেছে। না তার লেন্স বন্ধ হয়। না সে সচল হয়। ঘোড়ার পিঠে ওই কাদাওয়ালা রাস্তায় দোদুল্যমান হয়ে যেতে যেতে যত সম্ভব খোঁচাখুঁচি করেও যখন সে ক্যামেরার মুখ কোনো মতেই বন্ধ করতে পারলাম না তখন হল ছেড়ে দিয়ে বাকি রাস্তাটা শক্ত করে ছুমরির পিঠে চেপে বসে রইলাম। আর মাঝে মাঝে ছুমরির পিঠে হাত বুলিয়ে মনে মনে বলতে লাগলাম "সাবধানে নিয়ে চল মা, এই রাস্তায় যদি একবার পড়ে  যাই কাদাতেই তলিয়ে যাব। তারপর উঠে যতই পরিস্কার করি না কেন নিজেকে, আমার মাও বোধহয় আর আমাকে চিনতে পারবে না।" একহাঁটু কাদা জলের নিচে রাস্তার কোথায় কি উঁচু নিচু আছে না জেনে সম্পূর্ণ আন্দাজে কি করে যে সে আমায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিল সেই জানে।  তবে একসময় দেখলাম আমি সজ্ঞানে, পরিষ্কার অবস্থাতেই পাকা রাস্তায় অবতরণ করেছি। আর ওই অশ্বারোহণ পর্বে আমার ক্যামেরার ব্যাটারিটি খুস করে খুলে নিচে ওই কর্দম সমুদ্রে বিসর্জিত হয়েছে। তাই আমার ক্যামেরা অমন অবাধ্য ঘোড়ার মতন ব্যবহার করছিল আমার সাথে। কোনো মতেই সে ক্যামেরার মুখ আমি আর সে যাত্রা বন্ধ করতে পারলাম না। সে মুখ বন্ধ হয়েছিল আরো দিন দশেক পর। ফিরে এসে ব্যাটারি কেনার পর। সেই ব্যাটারি কেনার সময় নাম সংক্রান্ত ঝামেলার কথা তো আগেই আপনাদের বলেছি 'নামাবলী' শিরোনামে। সে পর্যন্ত আমার ওই হাঁ মুখ ক্যামেরা টিসু পেপার জড়ানো অবস্থাতেই বসে ছিল ব্যাগের ভেতরে। সুতরাং এই ভ্রমনে এই অশ্বারোহণ পর্বের পরবর্তী সমস্ত ছবিই আমার মোবাইলে তোলা। ক্যামেরায় তোলা শেষ ছবিটি আপনাদের দেখাই।  তাতে রাস্তার কাদার অন্তত সিকিভাগ আন্দাজ পাবেন আপনারা।



এখানেই আমাদের সার্কাস শেষ নয় কিন্তু। উৎসাহের চোটে আমরা যে সেই টয়ট্রেন থেকে নেমেই আগের রাতের যাত্রা, খিদে-ক্লান্তি এবং আর যা কিছু জৈবিক প্রয়োজন সব ভুলে গিয়ে ব্যাগ ট্যাগ নিয়েই সারাদিন ধরে কুফরীতে চষে বেড়ালাম, সেটা একর্থে আমাদের কাছে ছিল ভগবানের বলে দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত। কারনটা সেদিন বুঝিনি, পরদিন বুঝেছিলাম। যথাসময়ে ব্যাখ্যা করব সে কথা। আপাতত আজকের মতন সার্কাস শেষ। পরের দিনের শেষ সার্কাসটার গল্প আবার পরের দিন বলবখন। সেদিনের মতন আমরা কুফরীকে বিদায় জানিয়ে ফাগুর হোটেলের দিকে রওনা দিলাম।    
          
(চলবে)

0 comments:

Post a Comment